শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
এক নজরে :
শার্শায় মহিলাদলের উঠান বৈঠকে জনতার ঢল, পরিবর্তনের অঙ্গীকার হাসান জহিরের বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় হোমিও প্যাথিক ঔষুধ ও চোরাচালান পণ্য আটক নিজামপুরে অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিলেন সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি শার্শায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের বিজয়ের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা যশোরে বিজিবির অভিযানে ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মুল্যের স্বর্ণবারসহ আটক -১ বেনাপোলে ডিবির অভিযানে বিদেশি মদসহ আটক-২ তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে বাগআঁচড়ায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ ভাসমান পথশিশুদের মুখে একদিনের রঙিন হাসি ইসলামী ব্যাংক নওয়াপাড়ার বিরুদ্ধে মার্জিনের টাকা ছাড়াই এলসি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে চোরাচালান পণ্য আটক

অপরিচ্ছন্নতা ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের খাম খেয়ালীপনার মধ্যে দিয়ে চলছে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ, বেনাপোলঃ
কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা খামখেয়ালী পনার অভিযোগ উঠেছে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে।শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নোংরা ময়লা আবর্জনা টয়টেলে পানি না থাকা বেচিংয়ের উপর বদনা মগ থাকা সহ পুরুষ টয়লেট মহিলাদের ব্যবহার করা নার্সদের খামখেয়ালী কার্যকলাপ এর মধ্যে দিয়ে চলছে । এখানে অসুস্থ রোগি চিকিৎসা নিতে এসে আরো খারাপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি একমাত্র এই উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার চিকিৎসার জন্য ভরসা। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত এখানকার ডাক্তার নার্স আয়া, কিনার ওয়ার্ড বয় এর আচরন ও শোভনীয় নয়। সেই সাথে জেলার দায়িত্বে থাকা সিভিল সার্জন ও একজন দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে দায়িত্ব জ্ঞান হীন কথাবার্তায় হাসপাতালের স্টাফরা ও দায়িত্বহীন হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার ও শনিবার শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নাভারন গিয়ে দেখা যায় মহিলা ওযার্ড এর বাথরুমে কোন পানি নেই। এই টয়লেটের মধ্যে নোংরা ময়লা আর বেচিংয়ের মধ্যে রয়েছে বদনা ও মগ। মহিলা রোগিরা বাথরুম করতে যাচ্ছে পুরুষ ওয়ার্ডে। আর রোগিদের স্যালাইন বাড়ানো কমানো সহ কোন সমস্যার কথা নার্সদের বললে নার্সরা আয়াদের রোগিদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। রোগিরা বলে এই টয়লেট তারা ব্যবহার করতে পারে না। এখানে ময়লার স্তুপ ও পানি নাই।

এবার পুরুষ ওযার্ড এর বাথরুমে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ও নোংরা ময়লা অবস্থা। বেচিংয়ের উপর রয়েছে মগ ও বদনা। রোগিদের হাত মুখ ধৌত করার কোন অবস্থা নেই। কিনাররা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ ঠিক মত করে না।

বিষয়টি নার্সদের অবগত করানো হলে তারা বলে আমরা কিনারদের আয়াদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কথা বলেছি। তারা কাজ না করলে আমরা কি করতে পারি। আর রোগিরা ওইসব বাথরুম অপরিস্কার রাখে। তাদের জিনিস পত্র বাথরুমে পড়ে আটকে আছে । বেচিংয়ে ওই সব রোগিরা মগ বদনা ফেলে রেখেছে। আমাকে ব্যবহার করুন যে ডাস্টবিন তা এক কোনে পড়ে রয়েছে তার কোন ব্যবহার ও নেই।

রোগিরা যে পানি পান করবে হাসপাতাল যেখানে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে রেখেছে তাও নোংরা। পানির বেচিং এর মধ্যে পড়ে রয়েছে ময়লা বস্তা। হাসপাতালের সকল জায়গা ঘুরে দেখে মনে হয়েছে এটা কয়েকমাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না।
হাসপাতালের একাধিক রোগি এবং তাদের স্বজনদের চিৎকার করতে শোনা যায় দুর্গন্ধের জন্য তারা সহ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাদের কয়েক দফা নার্সদের রুমে গিয়ে পরিস্কার করার তাগিদ দিয়ে আসেন। এমন সময় হালকা পাতাল একজন কিনার এসে বলে আপনাদের সমস্যা কি? এসব রোগিরা নোংরা করে আমরা কত পরিস্কার করব? আশ্চার্য বিষয় তাহলে কিনার রাখার দরকার কি? আর জনগনের টাকায় তাদের বেতনও বা দেওয়ার কি কোন প্রয়োজন আছে ? এমন মন্তব্য করেন রোগিদের সাথে থাকা স্বজনরা।

শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় হাসপাতালের নার্স ফারহানা বলেন, আমরা পরিস্কার করে রাখতে পারি না। হাসপাতালের ওয়ালে ওয়ালে এ বিষয় লেখা থাকলেও রোগিরা সচেতন না। তারা ময়লা করে। আমরা চাকরি করতে এসেছি আমরাতো নিজেদের বেতন খরচ করে এগুলো পরিস্কার করতে পারি না। আর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় আয়া ও কিনার কম।

বিষয়টি যশোর যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: মাসুদ রানাকে অবগত করানো হলে তিনি বলেন বিষয়টি দেখছি। এরপর উনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ম্যাসেজ করে জানিয়ে দেয় রোগিরা সচেতন ভাবে ব্যবহার না করলে এসব সমস্যা হবে। এরপর উনাকে ফোন দিয়ে জানতে চাওয়া হয় তাহলে রোগিরা কি ঝাড়ু এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সরঞ্জাম এনে হাসপাতাল পরিস্কার করবে উনি উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।



Our Like Page