সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ অভয়নগরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত যশোরে জুমার নামাজে সিইসি ; বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন রকম অবৈধ সামগ্রী আটক বাগআঁচড়া সাতমাইলে মুদিখানা দোকানে, ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বেনাপোল স্থলবন্দরে বিলাসবহুল মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অভয়নগর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার সাত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৩৫ জন আটক সীমান্তে মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্প পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

অভয়নগরে প্রকৃতি রাঙাচ্ছে বসন্তের শিমুল ফুল

রাজয় রাব্বি :
যশোরের অভয়নগরে রক্তিম রঙে রঙিন হয়ে প্রকৃতি রাঙাচ্ছে বসন্তের শিমুল গাছের ফুল। শুধু ফুল আর ফুল; পাতা নেই। ফুটন্ত এ ফুল যেন দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় দেখা মিলল ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল শিমুল গাছের।
গাছে গাছে ফুটন্ত রক্ত লাল শিমুল যেন যেন চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে এই লাল রঙ। এরপরই এই রক্ত লাল থেকে সাদা ধূসর হয়ে তৈরি হয় তুলা। কিন্তু এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তুলা তৈরি ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলা ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে। আগে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা শোভাবর্ধনে ঝুলে থাকতো শিমুল ফুল। কালের বিবর্তনে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর যেখানে সেখানে চোখে পড়েনা রক্তলাল শিমুল গাছ। মূল্যবান শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।
উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের উড়োতলা গ্রামের বাসিন্দা মতীন গাজী বলেন, শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। ছোট শিমুল গাছের মাটির নিচের অংশ (মূলের) উপকারিতা অনেক। ভেষজ চিবিৎসা কাজে এই গাছের রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। গ্রামঞ্চলের মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।
এ বিয়য়ে জানতে চাইলে উপজেলার পল্লীমঙ্গল আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ খায়রুল বাসার জানান, গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত। মানুষরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোছা. লাভলী খাতুন বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে শিমুল গাছ। শিমুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি ফার্নিচার খুব বেশি স্থায়ীত্ব হয় না। এছাড়া বিভিন্ন ফোমের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলা ব্যবহার কমে গেছে। ফলে শিমুল গাছ হারিয়ে যাওয়ার পথে।



Our Like Page