সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ অভয়নগরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত যশোরে জুমার নামাজে সিইসি ; বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন রকম অবৈধ সামগ্রী আটক বাগআঁচড়া সাতমাইলে মুদিখানা দোকানে, ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বেনাপোল স্থলবন্দরে বিলাসবহুল মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অভয়নগর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার সাত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৩৫ জন আটক সীমান্তে মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্প পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

অভয়নগরে বাবার লাশ উঠানে রেখে সন্তানদের জমি ভাগাভাগি

স্টাফ রিপোর্টার :
সম্পত্তির ভাগবাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দুই স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বাবার মৃত্যুর পর লাশ দাফনে বাধা দেয় এক পক্ষ। পরে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও লোকজনের মধ্যস্থতায় ১৬ ঘণ্টা পর লাশ দাফন করা হয়। যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামে কোটা পূর্বপাড়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী হাবিবুর রহমান হবি বিশ্বাস (৭০) বুধবার সকাল ৬টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।

পরে রাত ১০টায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বাবার মরদেহ উঠানে রেখে ছেলেরা জমিজমা নিয়ে শালিসে বসে। হবি বিশ্বাসের ৪টি স্ত্রীর ৯ জন সন্তান রয়েছে, তবে তিনি ছোট স্ত্রীর সাথে থাকতেন। ছোট স্ত্রীর ছেলে সোহেল বিশ্বাসের কাছে তিনি ৮৩ শতক জমি লিখে দিয়েছিলেন। সেই জমি নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস করা হয়েছিল, কিন্তু হবি বিশ্বাস তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।

বাবা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ছেলে আতাউর, সুমন, আনোয়ার ও হাফিজুর কবর খোঁড়তে এবং লাশ দাফন করতে বাধা দেন। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কবর খোঁড়া হয়নি। অবশেষে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও কতিপয় ব্যক্তির মধ্যস্থতায় সব ছেলেকে একত্রিত করে শালিসে বসানো হয়। একপর্যায়ে ছোট স্ত্রীর নামে থাকা ৮৩ শতক জমির ৫০ শতক জমি সমানভাবে অন্য ছেলেদের নাম লেখানোর মুচলেকায় কবর খোঁড়ার অনুমতি মেলে।

ছোট স্ত্রীর ছেলে সোহেল বিশ্বাস বলেন, “আমার বাবার মৃত্যুর পর কবর খোঁড়ার জন্য গেলে আমার সৎভায়েরা বাঁধা দেয়। পরে শালিসী বৈঠকে ৫০ শতক জমি তাদের নামে লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তারা কবর খোঁড়ার অনুমতি দেয়।”

এ বিষয়ে শালিসী বৈঠকে উপস্থিত সাবেক ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “জমিজমা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। আমরা মিমাংসা করে দিয়েছি। অবশেষে মৃত হাবিবুর রহমান হবিকে রাতের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।”

চলিশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান বলেন, “৮৩ শতক জমি নিয়ে সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও কতিপয় ব্যক্তি সমস্যাটি সমাধান করেছেন। এটি খুব দুঃখজনক।”



Our Like Page