সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ অভয়নগরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত যশোরে জুমার নামাজে সিইসি ; বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন রকম অবৈধ সামগ্রী আটক বাগআঁচড়া সাতমাইলে মুদিখানা দোকানে, ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বেনাপোল স্থলবন্দরে বিলাসবহুল মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অভয়নগর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার সাত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৩৫ জন আটক সীমান্তে মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্প পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

অভয়নগরে মাছ শিকারের হিড়িক : কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ

বিশেষ প্রতিবেদক:
টানা বৃষ্টিপাতে যশোরের অভয়নগরে ছোট-বড় কয়েক শ মাছের ঘের ভেসে গেছে। ভেসে যাওয়া ঘেরগুলো থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ বিভিন্ন নদ-নদী ও সরকারি খালে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিকারে নেমেছেন এক শ্রেণির মাছ শিকারি। এতে ঘের মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মাছ শিকারিরা হচ্ছেন লাভবান।
জানা গেছে, জলাবদ্ধতার শিকার উপজেলার চলিশিয়া, পায়রা ও সুন্দলী এই তিন ইউনিয়নের কোটা, চলিশিয়া, বাগদাহ, আন্ধা, বলারাবাদ, বেতভীটা, সরখোলা, ডুমুরতলা, সুন্দলী, ডহর মশিয়াহটী, বাড়েধা, দীঘলিয়া, ভাটাডাঙ্গী, বারান্দিসহ ২৫ গ্রামের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে। তবে ভেসে যাওয়া ঘেরের মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মাছ শিকারি সরখোলা গ্রামের নাসির মোল্যা জানান, ভোরের আলো ফুটতেই জলাবদ্ধ গ্রামের শত শত মাছ শিকারি সরখোলা ও ডুমুরতলা গ্রামে এসে জড়ো হচ্ছেন। তাদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে থাকছে মাছের খাবার। অনেকে আবার সঙ্গে এনেছেন মাছ রাখার জাল। পরে ভেসে যাওয়া মাছের ঘের সংলগ্ন নদী বা খালের কালভার্টের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে বড়শি ফেলে মাছ শিকার শুরু করা হয়। যা চলে রাত পর্যন্ত।
চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের কামরুল হাসান জানান, গত ২ দিনে বড়শি দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতীর ছোট-বড় প্রায় ২৫ কেজি মাছ ধরেছেন। যার মধ্যে রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া, কালবাউশ, পাঙাশসহ দেশি প্রজাতির মাছও রয়েছে। অনেক শিকারি আবার ধরা মাছ বিক্রিও করছেন। যেখানে মাছ শিকার চলছে সেখানে ক্রেতাও চলে আসছেন। ইতোমধ্যে এক শ্রেণির মানুষ বড়শির পরিবর্তে জাল ফেলে মাছ শিকার শুরু করেছেন।
ডুমুরতলা গ্রামের কয়েকজন ঘের মালিক জানান, একটি বিল ধরে তাদের মাছের প্রকল্প ছিল। যেখানে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ দেওয়া হয়েছিল। নতুন পুরাতন মিলিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। গত তিন দিনের টানা বর্ষণে প্রকল্পসহ আশেপাশের সব ঘের ভেসে গেছে। চোখের সামনে প্রকল্পের মাছ শিকার করতে দেখলেও কিছুই করার নেই। বর্তমান সময়ে ঘের মালিকদের সর্বনাশ হলেও শিকারিদের যেন শুরু হয়েছে পৌষ মাস।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, অভয়নগর উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ১২০ হেক্টর জমির ৩২০টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫ কোটি টাকা। আর এই ভেসে যাওয়া মাছ শিকার করতে শিকারিদের যেন এক উৎসব শুরু হয়েছে।



Our Like Page