খন্দকার ফাহিম:
পথশিশু শব্দ টা শুনলে কেমন একটা ভাবনা চিন্তা আসে সবার মনে।কিন্তু বেশির ভাগ মানুষের মনেই খারাপ চিন্তা ভাবনা আসে৷ কিন্তু পথশিশু হওয়ার পিছনের কারন টা কেউ জানতে চায় না।রাস্তায় যে শিশু গুলো থাকে বা বেড়ে ওঠে তারাই পথশিশু। বলতে গেলে যাদের ভবিষ্যৎ বলতে কীছু থাকে না।নানা কারনে পথশিশু হয়।
কিন্তু কারো মনে কী প্রশ্ন আসে কেন একটা শিশু পথশিশু হবে বা পথ শিশু হলো?
কারো মনেই এই প্রশ্নটা আসে না হয়তো।ভাবুন একটা শিশু যার কোনো ভবিষ্যৎ নাই।কোথায় জীবনযাপন করবে তাও না জানা, কোথায় খাবে,কোথায় ঘুমায়ে বা তার শিক্ষা র কী ব্যবস্থা আছে তার, ও নিশ্চয়তা নাই।এই শীতে কী অবস্থায় আছে তা করোই না জানা কারন তারা তো পরিবার হারা।পরিবার না থাকলেও সে দেশেরই সন্তান।তার প্রতি কী সমাজের কোনো দায়িত্ব নেই,দেশের সরকারের দায়িত্ব নেই।আমাদের কী মানুষ হিসেবে কোনো দায়িত্ব নেই। সে ও তো একদিন নাগরিক হবে।তাদের যোগ্য করে তোলার দায়িত্ব তো এই সমাজেরই। কিন্তু কেউ খোজ খবর রাখে না।তাদের কষ্ট টা কেউ বুঝে না।তাদের জীবন মান উন্নয়নে কতজন বা কাজ করে। রাস্তায় থেকে শিশু গুলো মাদকাসক্ত ও নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পরছে।কারন তারা নিজের জীবন নিয়ে কীছু ভাবে না কারন তাদের তেমন বিবেগ বুদ্ধি নাই বললেই চলে কারন তারাতো শিশু।এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে তাদের।শিশু গুলোর পরিবার নেই।তাদের দিক নির্দেশনা দেয়ারও কেউ নেই। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ তা বুঝাবার মতো ও কেউ নেই। পরিবারের মতো দায়িত্ব টা আমাদেরই নিতে হবে।দায়িত্ব নিলে কতগুলো শিশু শিক্ষিত হবে।মানুষের মতো মানুষ হয়ে মাথা উচু করে বাঁচতে পারবে।দেশ ও দেশের মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।তাদের জন্য পূর্নবাসন এর ব্যবস্থা করতে হবে।তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, দিতে হবে।তারা দেশের সন্তান তারা পথ শিশু নয়,তারাই আগামী ভবিষ্যৎ।
লেখা : খন্দকার খাহিম
এলএলবি( অনার্স)
ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।