অধ্যক্ষ এস এম খায়রুল বাসার :
অভয়নগর থানা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আজকে নেতা নির্বাচিত করবেন বিএনপি’র কর্মীরা। এটা অবশ্যই শুভ কাজ, ভালো কাজ। একজন সাংবাদ কর্মী হিসেবে বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে কথা বলে দেখেছি, তাদের মধ্যে বিশাল উৎসাহ-উদ্দীপনা-স্বতঃস্ফূর্তিতা কাজ করছে। শুধু দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যেই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক একটা পন্থা অবলম্বন করা হয়। যে কোন রাজনৈতিক দলের ভিতরে গণতন্ত্র চর্চা- কর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধ, যোগ্য ও দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
সাধারণ জনগণও চাই রাজনৈতিক দলগুলোর ভিতরে, জন প্রতিনিধি নির্বাচনে গণতন্ত্র চর্চা হোক। এমন না হোক যে, নেতা নির্বাচনের সম্মেলনে নেতাদের বক্তব্যের পালা শেষ হলে, সঞ্চালক আগে থেকে সাজানো প্রস্তাব দিল যে, আমাদের মধ্যে ৩ অথবা ৫ জনের একটি কমিটি গঠন হবে, তারা যে কমিটি ঘোষণা দিবেন আমরা সেই কমিটি মেনে নিতে রাজি আছি? তো সাথে সাথে কিছু লোক হাত তুলে বললো, রাজি আছি। ব্যাস, নির্বাচন শেষ। সম্মেলনের দিন কর্মীরা ভোটের মাধ্যমে নিজের পছন্দ প্রকাশ করতে পারলেন না।
সেই ৩ থেকে ৫ জন লোক দু একদিন পরে কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণা করলো। কিন্তু দেখা গেল কর্মীরা যাদের ভোট দিতেন বা কর্মীদের ভোটে যারা জিততেন, ঘোষিত তালিকায় সেসব নেতাদের নাম নেই।
বাংলাদেশের নাগরিকরা চান, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হোক। উপর থেকে টিক ✔ মারার মাধ্যমে কেউ নেতা না হোক। তৃণমূলের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হোক, জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হোক। সুস্থ রাজনৈতিক ধারার মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক।