শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
এক নজরে :
যশোর সিমান্ত থেকে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য আটক শার্শায় বিএনপি নেতা হাসান জহিরের গণসংযোগ ও মোটরসাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত শার্শায় কৃষি ব্যাংক উদ্ভোধন ও গ্রাহক সেবা আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত যশোরে মহাসড়কে বিজিবির অভিযানে ১৭ পিচ স্বর্ণেরবারসহ আটক-১ বেনাপোল চেকপোষ্টে ল্যাগেজ বহির্ভুত পণ্য থাকলে স্পট ট্যাক্সের দাবি যাত্রীদের সাতক্ষীরার বাইপাসে ট্রাক-আলমসাধু সংঘর্ষে মারাত্মক আহত ২ যশোরের শার্শা থানা পুলিশের অভিযানে আটক-৪ যশোরের শার্শা গোগা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১০০ পিচ ফেনসিডিল উদ্ধার সাতক্ষীরায় ২ নারীসহ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ২৮ জন চুড়ান্ত

কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে আ’লীগ নেতার বিতর্কিত কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমতার প্রভাব খাটাচ্ছেন হাবিবুর মোড়ল। স্থানীয়দের অভিযোগ—অল্প কয়েক বছরের মধ্যে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান, সরকারি জমি দখল, ভূমিদস্যুতা, সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ নানান অভিযোগ উঠেছে।

হাবিবুর মোড়লের বাবার নাম রব্বানী মোড়ল। পূর্বে তাদের আদি বাড়ি ছিল শ্যামনগরের জয়নগর এলাকায়। স্থানীয়দের মতে, একসময় তাদের তেমন আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু গত ৫ বছরে শ্রীরামপুর, বিষ্ণুপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। প্রতি বছর গড়ে ৭-৮ বিঘা জমি কিনছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর প্রশ্ন—এই বিপুল অর্থের উৎস কোথায়?

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরিশালে ইটভাটায় কাজের আড়ালে হাবিবুর স্বর্ণ চোরাচালান পরিচালনা করেন। তার সম্পদের হঠাৎ বৃদ্ধির মূল কারণ এ চোরাচালান বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ রয়েছে, বাড়ি নির্মাণের সময় গ্রামীণ রাস্তাকে চলাচলের অনুপযোগী করেছেন হাবিবুর। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় স্থানীয়দের ওপর হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়েছেন। তার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণনগর এলাকার চিহ্নিত ডাকাতদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন এলাকাবাসী। অনেককে উচ্ছেদের হুমকিও দিয়েছেন।

হাবিবুর মোড়লের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল এবং সীমানার গাছ কাটার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া তার দুই ভাই মহিবুল্লাহ মোড়ল ও আব্দুল্লাহ মোড়ল ইটভাটায় শ্রমিক হলেও তিনি বাড়িতে থেকে প্রভাব বিস্তার করেন। আওয়ামীলীগের আমলে হাবিবুর মোড়লের দাপট ছিল ঈর্ষানীয়। নেতাদের ভয় দেখিয়ে অনেককে সম্বলহীনও করেছে সে।

এলাকার ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাদের প্রচুর টাকা। টাকার গরমে এলাকার মানুষকে তারা হয়রানি করছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যে পরিমাণ ভয়ভীতি দেখায়, তাতে অনেকেই মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। এক সময়কার আওয়ামী লীগ নেতা এখন বিএনপি’ হয়ে গেছে।

হাবিবুর মোড়ল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাস্তাটি আগে থেকেই নষ্ট ছিল। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি কেউ এখনো আমাকে জানায়নি। যদি তারা সরকারি রাস্তা নষ্ট করে থাকে তবে তাদের আইনের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অতিষ্ঠ এলাকাবাসী হাবিবুর মোড়লের টাকার উৎস উদঘাটন, অবৈধ সম্পদের তদন্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



Our Like Page