সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ অভয়নগরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত যশোরে জুমার নামাজে সিইসি ; বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন রকম অবৈধ সামগ্রী আটক বাগআঁচড়া সাতমাইলে মুদিখানা দোকানে, ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বেনাপোল স্থলবন্দরে বিলাসবহুল মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অভয়নগর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার সাত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৩৫ জন আটক সীমান্তে মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্প পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

ক্লিনিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাতক্ষীরার সাংবাদিক নামধারী দুই চাঁদাবাজের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজির অভিযোগে চিহ্নিত দুই চাঁদাবাজ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী একজন ডাক্তার।

বুধবার (১২ মার্চ) সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি করেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স কনসালটেন্ট (সার্জারী) ও সাতক্ষীরা ট্রমা সেন্টারের মালিক ডাঃ হাফিজ উল্লাহ।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার আজিজুল ইসলামের ছেলে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি (৪৮) ও আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালি গ্রামের হামিদুল গাজী ওরফে হামিদুল্লাহ গাজীর ছেলে কালবেলা পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হাবিবুল বাসার ফারহাদ (গাজী ফারহাদ) (৩২)। বর্তমানে মনিরুল ইসলাম মনি শহরের কাটিয়া ও গাজী ফারহাদ শহরের পলাশপোল এলাকায় বসবাস করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রাম থেকে একজন রোগী সাতক্ষীরার বিশিষ্ট অর্থোপেডিক্স ডাঃ হাফিজ উল্লাহ’র ক্লিনিক শহরের কাটিয়া এলাকার ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন। এসময় ক্লিনিকে ডাঃ হাফিজ উল্লাহ উপস্থিত না থাকায় ওই রোগী ক্লিনিকের বাইরে ভ্যানের উপর অপেক্ষা করতে থাকেন। সে সময় ওইখানে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি ও সাংবাদিক গাজী ফারহাদ রোগীর সাথে ডাঃ হাফিজ উল্লাহ ও তার ক্লিনিক নিয়ে বিভিন্ন অবান্তর কথাবার্তা বলতে থাকে ও চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে তার ক্লিনিকে জোর পূর্বক আসতে বাধ্য করা হয়েছে বলে রোগীকে ভূল বুঝিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেয়।

বিষয়টি ক্লিনিকের স্টাফরা জানতে পেরে তাদের এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ও মনিরুল ইসলাম মনি এবং গাজী ফারহাদ গালিগালাজ শুরু করে এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পরিবেশ শান্ত হবে বলে জানায়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।

ডাঃ হাফিজ উল্লাহ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজিত হয়ে মনি এবং ফারহাদ ডাঃ হাফিজ উল্লাহকে ঠেলে ফেলে দেয় ও হুমকি প্রদান করে বলে, তাদেরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। নইলে তারা ডাঃ হাফিজ উল্লাহ ও তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রতিনিয়ত এ ধরনের হয়রানিমূলক কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্থ করার হুমকি দেয়।

এঘটনায় ডাঃ হাফিজ উল্লাহ অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে আমিরুল ইসলাম গত ৮ মার্চ একটি অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে মামলাটি রুজু করে। যার মামলা নং ২১, তাং ১২/৩/২০২৫।

এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক ওনার্স সমিতির সাধারণ সম্পদক কামরুজ্জামান রাসেল জানান, মামলার বিষয়টি সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামিনুল হক নিশ্চিত করেছেন।



Our Like Page