স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে মর্যাদা প্রদান, আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, এবং অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে পাঠ করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়।
চরফ্যাশন জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক শাহাদাত খন্দকার মঞ্জুর নেতৃত্বে শত শত নেতৃবৃন্দের একটি শক্তিশালী দল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তাদের উপস্থিতি ও সক্রিয় ভূমিকা কর্মসূচিকে উল্লেখযোগ্য সফলতায় পৌঁছে দেয়।
শাহাদাত খন্দকার মঞ্জু এক বক্তৃতায় বলেন, “আমাদের দাবি ন্যায্য। আমরা এই আন্দোলনের মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইতিহাসের সত্যকে জনগণের সামনে তুলে ধরার এই লড়াই চলমান থাকবে।”
চরফ্যাশনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে তাঁদের উপস্থিতিতে।
চরফ্যাশনের অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “আমাদের এলাকা থেকে আসা নেতাদের এমন সক্রিয় ভূমিকা আমাদের গর্বিত করেছে। আমরা সবসময় এই আন্দোলনের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”
কর্মসূচির আয়োজকরা জানান, এই আন্দোলন শুধু একটি দাবি নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আগামী দিনগুলোতেও এই দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।