চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার খোদ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে বসে মাদক বিক্রির অভিযোগে আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টুসহ তার ৬ অনুচরকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। তবে ইউপি চেয়ারম্যান পিন্টুকে সরকারি ত্রানের কম্বল চুরি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা, মাদক সেবনের সরঞ্জাম ও কন্ডোম, হুক্কা, খেলনা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ সরকারি কম্বল উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিন্টু, তার দুইভাই রিপন ও রাজিব, ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে পরিচিত একই গ্রামের হাশেম মালিথার দুই ছেলে মেহেদী হাসান ও রাজা বাবু, রইচ উদ্দীনের ছেলে শাহজাহান, কামালপুরের আজিজুল ইসলামের ছেলে বাপ্পি রহমান ও গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার এবং কুমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেল। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিন্টু চেয়ারম্যানের দুই সহোদর রিপন ও রাজিবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দোতলার কক্ষ থেকে ২ বোতল বিদেশী মদ, (বড়-১, ছোট-১) খালি, ৮ বোতল ফেনসিডিল (৫ টি খালি ও ৩টি ভরা), খেলনা পিস্তল, ১টি বড় দা, ২ টি হুক্কা, ৪৪ টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট (কৌটার ভেতর), ইয়াবা ও হিরোইন সেবনের সরঞ্জাম, নগদ ১২ হাজার ৮৬০ টাকা ও ১৫০ টি সরকারি কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু চেয়ারম্যানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নীচতলা থেকে কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টুকে সরকারি ত্রাণের কম্বল আত্মসাৎ করা মামলা ও বাকী ৫ জনকে মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।