শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
মামলার বাদীর তিন ভাইপোর নামে পরিকল্পিত ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন শার্শায় মহিলাদলের উঠান বৈঠকে জনতার ঢল, পরিবর্তনের অঙ্গীকার হাসান জহিরের বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় হোমিও প্যাথিক ঔষুধ ও চোরাচালান পণ্য আটক নিজামপুরে অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিলেন সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি শার্শায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের বিজয়ের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা যশোরে বিজিবির অভিযানে ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মুল্যের স্বর্ণবারসহ আটক -১ বেনাপোলে ডিবির অভিযানে বিদেশি মদসহ আটক-২ তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে বাগআঁচড়ায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ ভাসমান পথশিশুদের মুখে একদিনের রঙিন হাসি ইসলামী ব্যাংক নওয়াপাড়ার বিরুদ্ধে মার্জিনের টাকা ছাড়াই এলসি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বয়কটের ডাক

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
দৈনিক প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’ পত্রিকা দুটি পুড়িয়ে বয়কটের ডাক দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের আখ সেন্টারের সামনে পত্রিকা দুটি পোড়াতে দেখা যায়। এসময় তারা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে দাবি করে তারা পত্রিকা দুটি বয়কটের ডাক দেন।
জাকির আহমেদ শামিম বলেন, প্রথম আলো ভারতে এজেন্ট ও বাংলাদেশে একটি চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী পত্রিকা। বিভিন্ন সময়ে ইসলামবিদ্বেষ কর্মকান্ড তাদের পত্রিকা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাজের দ্বারা ফুটে উঠেছে। ২০০৭ সালে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনার সম্পাদক আনিসুল হকের লেখা ‘ছহি রাজাকারনামা’ নামক ব্যঙ্গাত্মক রচনায় স্পষ্টভাবে ইসলামবিদ্বেষ ফুটে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সবসময় বাংলাদেশে রাজনীতিকে অস্তিত্বের দিকে ঠেলে দেয়। বাংলাদেশ থেকে এই পত্রিকা দুটি বয়কট চাই। যদি প্রথম আলো ডেইলি স্টার পত্রিকা থাকে তাহলে হাসিনা আবারও আসবে, দেশ আবারও ভারতে দাবিদারের পরিনতি হবে। আমরা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ দাবি জানায়।
মিলন হোসেন বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে এই ২৪ সাল পর্যন্ত প্রথম আলোর সম্পাদক মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান ২০০৬-৭ থেকে ওয়ান ইলিভেন জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত মতিয়ার রহমান বাংলাদেশকে নিয়ে যে যড়যন্ত্র এবং ধংসাত্মকমূলক কর্মকান্ড বিদেশের কাছে লিপিবন্ধ করেছে তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রথম আলো বাংলাদেশকে নিয়ে একের পর এক যড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো সর্বপ্রথম স্বৈরাচার হাসিনার আধিপত্য বিস্তারের যড়যন্ত্রে এই প্রথম আলো লিপ্ত ছিলো। বিডিআর হত্যাকান্ডের যে নিলনকশা পরিকল্পনা সর্বপ্রথম এই প্রথম আলোর সম্পাদক প্রকাশ করেছিলো, জাতি জানতে চাই কোন মিডিয়া জানতে পারলো না তবে প্রথম আলো কিভাবে প্রকাশ করেছি। শাপলা চত্বরে যে হত্যাকান্ড পরিচালনা করেছিলো সারা পৃথিবীর মানুষ জানলো অসংখ্য আলেম উলামারা মৃত্যু বরণ করেছিলো কিন্তু এই প্রথম আলোর সম্পাদক সেদিন বিদেশের কাছে নীলনকশা যড়যন্ত্র ও স্বৈরাচার শাসকের তাবেদার করা জন্য সেদিন মিথ্যা প্রচার করেছিলো কোন আলেম ওলমা মরেনি। শুধু তাই নাই বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র পরিনত করার জন্য বিদেশের কাছে যত যড়যন্ত্র করার এই প্রথম আলোর সম্পাদক করেছিলো আমি অবিলম্বে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ এদেশকে নিয়ে যারা যড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত থাকবে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এসময় সরোয়ার হোসেন, জাকির আহমেদ শামিম, মিলন হোসেন, মানিক, আব্দুল্লাহ, জয়, আফ্রিদি, সফি, জামানসহ শতাধিক ছাত্র জনতা উপস্থিত ছিলেন।



Our Like Page