বিশেষ প্রতিনিধি-
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার কর নির্ধারক মোজাফফর হোসেন কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওয়াপাড়া পৌর প্রশাসক পার্থ প্রতিম শীল। গত বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই বরখাস্তের অফিশিয়াল নোটিশ মোজাফফর হোসেন কে প্রদান করা হয়েছে বলে অফিস সূত্রে জানাযায়।
বরখাস্তের বিষয়ে পৌরসভার একাধীক কর্মকর্তা, কর্মচারি জানান মোজাফফর হোসেন বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদশালী হয়েছেন। তার জন্য অফিসে কেউ ঠিক মতো কাজ করতে পারতোনা, কথায় কথায় যাকে তাকে হেনস্তা করা ছিল তার নিত দিনের কাজ। সাবেক পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত ও মোজাফফর হোসেন কলেজ জীবন থেকে নিষিদ্ধ আওয়ামী ছাএলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। একই রাজনৈতিক দলের অনুশারী থাকার সুবাদে সাবেক মেয়রের আস্থাভাজন হয়ে পৌর সভার অন্যন্য দপ্তর গুলোতেও সমান ভাবে খবরদারি চালাতেন।
পৌরসভার একাধীক সূএ থেকে জানা যায়, সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। অফিস থেকে ছুটি না নিয়ে গোপনে আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেষ দেয়। এর পরে তার স্ত্রী হাজত বাসে থাকা স্বামীর স্বাক্ষরিত ছুটির আবেদন পৌরসভার কর্মকর্তা কাছে জমা দেন ।
এ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা পৌর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে নড়েচড়ে বসেন পৌর কতৃপক্ষ। এর ফলে গত ২৪ জুলাই তাকে সাময়িক বরখাস্তের অফিশিয়াল নোটিশ জারি করা হয়।
মোজাফফর হোসেন দ্বারা হয়রানির শিকার বেশ কয়েক জন জানান পুরোপুরি খুশি হতে পারছিনা কারন, সে ছাড়া আরও তিন জন পুরুষ ও এক নারী কর্মকর্তা রয়েছেন যারা আওয়ামিলীগ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতো তারা এখনো করে চলছে। ওই সকল দূর্নীতি বাজ দের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি ভুক্তভোগীদের।
একই সাথে ধন্যবাদ জানাই সাংবাদিকদের উনারা সময় মতো খবর নেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে এই শাস্তি মূলক ব্যবস্থা তা না হলে হয়তো বিশেষ বিবেচনায় তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করা হতো।
বরখাস্তের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওয়াপাড়া পৌর প্রশাসক পার্থ প্রতিম সীল বলেন যে হেতু তার বিরুদ্ধে একটি নাশকতার মামলা চলমান রয়েছে তাই তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যতো দিন এই মামলা থেকে পুরোপুরি মুক্তি না পাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে নেওয়া এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে তিনি জানান।
বরখাস্তের বিষয় জানতে পৌর কর নির্ধারক মোজাফফর হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি