গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরায় ঘরপোড়ানোা মামলা তুলে নিতে রাজী না হওয়ায় বাদীর তিন ভাইপোর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ধর্ষণ মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু যুব পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানবন্ধন কর্মসূচীতে হিন্দু যুব পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচীব মনোদীপ মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি অ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, জেলা পুজা ফ্রন্টের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. সুনীল কুমার ঘোষ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, রঘুনাথ খাঁ, বাসদ নেতা শিক্ষক নিত্যানন্দ সরকার, অ্যাড, খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, সাংবাদিক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, জাসদ নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, ক্ষতিগ্রস্ত দীলিপ গাইন, সুচিত্রা গাইন, নির্যাতিতা মাধবী মন্ডল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্যামনগরের মীরগাং গ্রামে ১৭ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লুটপাট শেষে দীলিপ গাইনের বসতঘর ও রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে ভষ্মিভুত করা হয়। এ ঘটনায় দীলিপ গাইন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বক্তারা আরো বলেন, এই ঘরপোড়ানো মামলা তুলে নিতে রাজী না হওয়ায় দীলিপ গাইনের ভাইপো পলাশ, তুষার ও বিকাশের নামে প্রতিপক্ষের এক ব্যক্তির মাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৭ অক্টোবর মামলা দেয়া হয়। ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বিকাশ গাইনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মানববন্ধন থেকে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর মোল্লা ও উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলামকে অপসারন ও পরিকল্পিত ধর্ষণ মামলার সঙ্গে জড়িতদের ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- এখানে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। উভয় পক্ষই সনাতন ধর্মাবলম্বী। একপক্ষ ঘর পোড়ানো মামলা করেছে অপররপক্ষ ধর্ষণ মামলা করেছে। মামলার বাদী তো পুলিশ নয়। এক্ষেত্রে পুলিশের অপরাধ কোথায়? থানা পুলিশ অপরাধী হলে তার অপসারণ চাইতে পারে।