শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
এক নজরে :
যশোর সিমান্ত থেকে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য আটক শার্শায় বিএনপি নেতা হাসান জহিরের গণসংযোগ ও মোটরসাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত শার্শায় কৃষি ব্যাংক উদ্ভোধন ও গ্রাহক সেবা আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত যশোরে মহাসড়কে বিজিবির অভিযানে ১৭ পিচ স্বর্ণেরবারসহ আটক-১ বেনাপোল চেকপোষ্টে ল্যাগেজ বহির্ভুত পণ্য থাকলে স্পট ট্যাক্সের দাবি যাত্রীদের সাতক্ষীরার বাইপাসে ট্রাক-আলমসাধু সংঘর্ষে মারাত্মক আহত ২ যশোরের শার্শা থানা পুলিশের অভিযানে আটক-৪ যশোরের শার্শা গোগা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১০০ পিচ ফেনসিডিল উদ্ধার সাতক্ষীরায় ২ নারীসহ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ২৮ জন চুড়ান্ত

শার্শার গোগায় আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির দু গ্রুপে সংঘর্ষ, দলীয় অফিস ভাঙচুর, বোমা ও গুলিবর্ষণ, আহত-২

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোলঃ
যশোরের শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দলীয় অফিস ভাঙচুর, একাধিক বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের অগ্রভুলোট বাজারে।

আহররা হলেন, অগ্রভুলোট গ্রামের রওশান আলীর ছেলে আতিয়ার (৫৮) ও একই গ্রামের সৈয়দ আলী গাইনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫৫)। তারা দুজন হামিদ গ্রুপের সমর্থক।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেনের কর্মি বাবলুসহ বেশ কয়েকজন একটি পাওনা টাকার সালিশ করছিলেন। এতে বাধা দেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদারের সমর্থকরা। এরই জের ধরে সোমবার রাতে অগ্রভুলোট বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।এ ঘটনায় গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার গ্রুপের সমর্থক আতিয়ার রহমান ও শরিফুল ইসলাম নামে দুইজন ব্যক্তি আহত হন।এ খবর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদারের সমর্থকদের কাছে ছড়িযে পড়লে। পরে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের এক থেকে দুইশ কর্মীরা অগ্রভুলোট বাজারে সহ-সভাপতি সরোয়ারের কর্মি বাবলুর দলীয় অফিস, চেয়ার, টেবিলসহ সকল প্রকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে তার সমর্থক আবু শামা,শাহ আলম,কবির হোসেন সহ প্রায় ৫ /৬ জনের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ, ও গুলিবর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে।এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সরোয়ার মোল্লার সমর্থকের প্রায় ২০ টি পরিবার বাড়ি ছাড়া রয়েছে।

গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মারামারির পরে হামিদ সরদারের নেতৃত্বে দুই থেকে তিনশ দুর্বৃত্তরা রাত ১১ টার দিকে প্রথমে অগ্রভুলট বাজারে দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। পরে ৮ থেকে ১০ টি বাড়িতে ভাঙচুর, একাধিক বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে নিয়ে চলে যায়। বর্তমানে আমিসহ গ্রামের মানুষেরা আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন।

এ ব্যাপারে গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার জানান

আমি কিছু জানি না, সকালে এসে শুনি আমার কর্মীরা নাকি বোমা হামলা ও ভাঙচুর করেছে। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতি করেছে, তারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে নাভারণ সার্কেলের এসপি নিশাদ আল নাহিয়ান জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। এসময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এলাকাই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে তিনি জানান।



Our Like Page