দক্ষিণ বাংলা ডেস্ক :
যশোরের অভয়নগর থানা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীরদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। দীর্ঘদিন পর উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। প্রতিদিন বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পাড়া-মহল্লায় হচ্ছে মতবিনিময়সহ উঠান বৈঠক।
আগামী শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বচন প্রার্থীরা ছুঁটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। আসন্ন সম্মেলনে অভয়নগর থানা বিএনপি’র সভাপতি পদে ফারাজী মতিয়ার রহমান একক প্রার্থী হওয়ায় তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু ও অপর যুগ্ম আহবায়ক মশিয়ার রহমান মশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এফ এম গিয়াস উদ্দিন, থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ আসাদুল্লাহ আসাদ ও নওয়াপাড়া পৌর যুব দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন খান।
বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে রয়েছি এবং জুলুম, নির্যাতন ও হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে। যে কারণে ভোটারা একজন সৎ ও সাংগঠনিক নেতাকে নির্বাচিত করতে ভুল করবে না।
একই আশাবাদ ব্যক্ত করে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মশিয়ার রহমান মশি বলেন, অভয়নগর থানা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি এবং পরবর্তীতে যশোর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। দলের কঠিন সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আন্দোলন করেছি। আমি নির্বাচিত হলে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করাসহ আদর্শিক পন্থায় দল পরিচালন করার চেষ্টা করব।
সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী এফ এম গিয়াস উদ্দিন বলেন, ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। নেতাকর্মীরা আমাদের প্যানেলকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
অপর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী শেখ আসাদুল্লাহ আসাদ বলেন, বিগত ১৭ বছর রাজপথে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। অসংখ্য মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি। অর্থ ও স্বার্থের কাছে কখনো মাথানত করিনি। আগামী সম্মেলনে দলীয় ভোটাররা কালো টাকার কাছে বিক্রি হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী কামাল হোসেন খান বলেন, দলের ভেতরে তরুণ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। বিজয়ী হলে তরুণদের সাথে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করব। আমার ১৭ বছরের কর্মকান্ড এই নির্বাচনে নেতাকর্মীরা মূল্যায়ন করবে।
জানা গেছে, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার অভয়নগর থানা বিএনপির সম্মেলন যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮টি ইউনিয়নের ৫শ’ ৬৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।