 
						
বিশেষ প্রতিনিধি:
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস সময় থাকা সত্ত্বেও যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিয়মিতভাবে সময়ের আগেই অফিস বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সেবা প্রত্যাশীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেই প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, ওই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিয়মিত নয়। কখন খোলা হবে আর কখন বন্ধ হবে সে বিষয়ে নেই কোনো শৃঙ্খলা বা জবাবদিহিতা।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের প্রধান ফটকসহ সব কক্ষেই তালা ঝুলছে। কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কাউকেই পাওয়া যায়নি।
হিসাব রক্ষক জিয়াউল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাড়িতে আছেন বলে স্বীকার করেন। অফিস চলাকালীন সময়ে বাসায় কেন এ প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোন কেটে দেন। গার্ড আইয়ুব আলীও একইভাবে জানান, তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন এবং সময়ের আগেই অফিস বন্ধের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
পরদিন বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে অফিসে গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোসা. আসমা খান সাংবাদিককে প্রথমে জানান তিনি আত্মীয় অসুস্থ হওয়ায় ছুটিতে বাসায় আছেন। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে জানান, তিনি অফিসেই অবস্থান করছেন এবং কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে সরাসরি অফিসে এসে কথা বলতে বলেন।
সাংবাদিক জানতে চান মঙ্গলবার তিনি অফিসে ছিলেন কিনা উত্তরে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনি আমার অথরিটি নন।” পরে আবার জানান, তিনি ওইদিন নওয়াপাড়ার বাইরে ছিলেন। সময়ের আগে অফিস বন্ধের বিষয়ে তার মন্তব্য “কাজ না থাকলে অফিসে কি করবে?” সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি, “উপজেলার কোন অফিস ঠিক ৫টা পর্যন্ত চলে”।
অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো মাহফুজুল হোসেন বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। বিস্তারিত জেনে আপনাকে জানাবো।”