গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অবস্থিত স-মিলে ৩৩ বিজিবি টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ১৯ হাজার টাকা করে মোট ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে জেলার কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া মোড় এলাকায় পরিবেশ আইনবিরোধী ও বন বিভাগের অনুমোদনহীন অবৈধভাবে পরিচালিত স-মিলে এ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হকের সার্বিক দিক নির্দেশনায় গয়ড়া কলেজ মোড়ের অনুমোদনহীন স-মিলে বিজিবি, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে টাস্কর্ফোস অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে কলাে্রোয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন বিভাগের অনুমোদন ব্যতিত স-মিলে পরিবেশের ক্ষতি করে গাছ ও কাঠ চেরাই করে ব্যবহার করছে।
টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনাকালে করাতকল লাইসেন্স আইন লঙ্ঘন করার দায়ে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘‘করাত কল লাইসেন্স বিধিমালা-২০১২ এর ১২ ধারা’’ মোতাবেক স্থায়ীভাবে বন্ধের নিমিত্তে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং করাত কলগুলো অপসারণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নোটিশ জারী করা হয়। তাছাড়া আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে কাঠ চেরাই করার দায়ে ৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ১৯ হাজার টাকা করে মোট ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
টাস্কফোর্স অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত জাহান (এসি ল্যান্ড, কলারোয়া উপজেলা), বিজিবির পক্ষে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সহকারী পরিচালক বেগ আব্দুল্লাহ আল মাসুম এর সাথে ১৫ জন বিজিবি সদস্য, মোঃ ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বন কর্মকর্তা, কলারোয়া এর সাথে ৩ জন এবং ৫ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, টাস্কফোর্স অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহে মজুদকৃত আনুমানিক ৪৭ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৭ হাজার ৮শ ঘনফুট বিভিন্ন প্রকার গোল কাঠ পাওয়া যায় যা টাস্কফোর্স দল কর্তৃক জব্দ করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত বিভিন্ন প্রকার গোল কাঠ বাবদ ৪৭ লক্ষ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ৩০ হাজার টাকা। যার সর্বমোট সিজার মূল্য ৪৭ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।খ ব্রাদার্সের মালিককে ১০ বছর জেল
বিশেষ প্রতিবেদক:
ভারতে অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনার একটি আদালত মেসার্স শেখ ব্রাদার্সের কর্নধর এসএম হাফিজুর রহমানকে দুটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ ইয়াছিন আলী। তবে রায় ঘোষণার সময়ে আসামি এস এম হাফিজুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত সূত্র জানায়, খুলনার মুন্সিপাড়া প্রথম গলিতে অবস্থিত শেখ ব্রাদার্সের কর্ণধর এসএম হাফিজুর রহমান যশোর জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকার বাসিন্দা ইশারাত আলীর ছেলে। তিনি ভারত থেকে কষ্টিক সোডা আমদানির জন্য আইএফআইসি ব্যাংক খুলনা শাখা হতে ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে একই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট চারটি এলসি খোলে। তিনি ওই এলসির বিপরীতে কষ্টিক সোডা আমদানি না করে জাল ও ভুয়া রেকর্ড আইএফআইসি ব্যাংক খুলনায় দাখিল করে ১ লাখ ১৯ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৫ টাকা ভারতে পাচার করেন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক এস এম শামীম বাদী হয়ে খুলনা থানায় এসএম হাফিজুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম আসামি হাফিজকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর একই বছরের ৬ নভেম্বর আসামি হাফিজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়।
দুদকের পিপি সেলিম আল আজাদ বলেন, আসামি হাফিজ ভারত থেকে কষ্টিক সোডা আমদানির জন্য আইএফআইসি খুলনা শাখায় এলসি খোলেন। ওই এলসিতে ভুয়া বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করে টাকাগুলো ভারতে পাচার করেছেন। তিনি সকল কাগজ ভুয়া এবং জাল করে টাকা গুলো নিয়েছেন।