শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
মামলার বাদীর তিন ভাইপোর নামে পরিকল্পিত ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন শার্শায় মহিলাদলের উঠান বৈঠকে জনতার ঢল, পরিবর্তনের অঙ্গীকার হাসান জহিরের বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় হোমিও প্যাথিক ঔষুধ ও চোরাচালান পণ্য আটক নিজামপুরে অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিলেন সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি শার্শায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের বিজয়ের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা যশোরে বিজিবির অভিযানে ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মুল্যের স্বর্ণবারসহ আটক -১ বেনাপোলে ডিবির অভিযানে বিদেশি মদসহ আটক-২ তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে বাগআঁচড়ায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ ভাসমান পথশিশুদের মুখে একদিনের রঙিন হাসি ইসলামী ব্যাংক নওয়াপাড়ার বিরুদ্ধে মার্জিনের টাকা ছাড়াই এলসি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ

সাতক্ষীরার সাবেক ডিসি নাজমুল আহসান, এসপি মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের নামে মামলা

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান, তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন এএসপি (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার তৎকালিন ওসি মো. ইনামুল হকসহ পুলিশের ১৫ জন ও আওয়ামী লীগের দশ নেতাকর্মীর নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাদী হয়ে বুলডেজার দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবী করে সোমবার (২৬ মে) সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. মায়নুদ্দিন ইসলাম বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এবিষয়ে আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরার বারের সহ-সভাপতি এড. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদরের শাখরা কোমরপুর এলাকার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বুলডেজার দিয়ে বাদীর ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন এ মামলাটি আমলে নেয়নি। তাই দীর্ঘ ১৫ বছর পর কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ মো. ওবায়দুল্যাহ।

মামলার বাদী মো. ওবায়দুল্যাহ বলেন, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তার বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করে তৎকালিন আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী। যার নের্তৃত্বে ছিলেন সাতক্ষীরার তৎকালিন ডিসি নাজমুল আহসান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বহাল তরবিয়তে আছেন হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও খুন গুমে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান। নাজমুল আহসানের সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তিনি এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন।



Our Like Page