সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ অভয়নগরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত যশোরে জুমার নামাজে সিইসি ; বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন রকম অবৈধ সামগ্রী আটক বাগআঁচড়া সাতমাইলে মুদিখানা দোকানে, ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বেনাপোল স্থলবন্দরে বিলাসবহুল মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অভয়নগর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার সাত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৩৫ জন আটক সীমান্তে মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্প পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

সাবেক এমপি রণজিত ও এসপি আনিসুরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দক্ষিণ বাংলা ডেস্ক :
বাঘারপাড়া বিএনপির এক নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পায়ে গুলি করার অভিযোগে আট বছর পরে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মামলায় সাবেক এমপি রনজিৎ রায় ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাঘাপাড়া উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নেছার আলীর ছেলে ভিকটিম আবু ইসা এই মামলাটি করেছেন।

অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) রফিকুল ইসলাম, বাঘাপাড়া থানার তৎকালীন ওসি ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, এসআই হান্নান শরীফ, এসআই সোহাগ হোসেন, এএসআই মাসুদুর রহমান, এএসআই শরিফুল ইসলাম, কন্সটেবল আবু তালেব, সেলিম হোসেন, আবু সাইদ, মাহাবুবু আলম, নলডাঙ্গা গ্রামের মফেজ গাজীর ছেলে ইউনুস আলী, মৃত খালেক বিশ্বাসের ছেলে বাকু বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর গ্রামের বদর উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুস সালাম মন্ডল।

বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি যশোর জোনকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ।

বাদী মামলায় বলেছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৬ সালের ১০ জুন রাত ১০ টার দিকে এমপি রণজিৎ রায়, তার অনুসারী ইউনুস আলী ও বাকু বিশ্বাসের ইন্দনে একদল পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। পরে জোর করে তাকে বাঘারপাড়া থানায় নিয়ে যান। একই সাথে আবু সাইদের পরিবারকে থানায় আসতে বলেন। স্বজনেরা ওসির সাথে কথা বললে তিনি জানান ১০ লাখ টাকা লাগবে অন্যথায় সাইদকে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে। বাধ্য হয়ে স্বজনের দুই লাখ টাকা ওসির হাতে তুলে দেন। ওই টাকা পুলিশ গ্রহণ করে এরপর বাকি আট লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা দিতে না পারায় থানা থেকে বের করে দেয় সাইদের পরিবারকে। মধ্যরাতে সাইদকে নিয়ে বাঘারপাড়ার তেলিধান্যপোড়া গ্রামের একটি ইট ভাটার পাশে নিয়ে ডান পায়ে গুলি করে ফেলে চলে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে খবর পেয়ে সাইদের পরিবার তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্যদিকে পুলিশ সাইদের নামে একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলা করে। এরপর সাইদকে পুলিশ পাহারায় রেখে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ডান পায়ের উপর থেকে কেটে দেয়। এছাড়া হাসপাতালের সকল কাগজপত্র পুলিশ ছিনিয়ে নেয়। এসব বিষয়ে মামলা করা হলে সাইদকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে তারা এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন।



Our Like Page