গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির নজরদারির সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও। যে কারণে পুশইনের জন্য বিএসএফ সুন্দরবনের গহীন জঙ্গলকে বেছে নিয়েছে। গত শুক্রবার ভোরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নদী রায়মঙ্গল পার হয়ে ৭৮ জন কথিত বাংলাদেশিকে সুন্দরবনের সবশেষ টহল ফাঁড়ি মান্দারবাড়িয়ায় পুশইন করে রেখে যায়।
শনিবার (১০ মে) দিনগত রাতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে পুশইন করা কথিত বাংলাদেশিদের কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বনবিভাগের পক্ষ থেকে। তাদের কোস্টগার্ডের তিনটি বোর্ডে মোংলা নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত বাংলাদেশি রেড এলার্টকে ঘিরে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা উৎকণ্ঠা দেখা দিলেও তাদের মনোবল দৃঢ রয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি। জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা। সীমান্তবাসীর একটাই কথা কোনোভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে। বিএসএফের অপতৎপরতায় কোনো প্রকার অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রতিহত করা হবে।
জেলা কোর কমিটির সভাপতি জেলাপ্রশাসক সাতক্ষীরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা উল্লেখ করে জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ভালো করতে হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় রয়েছে ডাঙ্গা ও নদী সীমান্ত। ডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় সব জায়গায় ভারতের কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নীরব নজরদারির সঙ্গে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ভারতীয় পাড়ে সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সুন্দর রয়েছে। সেজন্য সাতক্ষীরা সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ভালো করা দরকার।
বিজিবির দেয়া তথ্য মতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে সাতক্ষীরার ২০৩ কিলোমিটার সীমান্তের শুধুমাত্র ৩৬ কিলোমিটার ডাঙ্গা, আর দীর্ঘ ১৬৭ কিলোমিটার সীমান্ত নদী রয়েছে। আর এ সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সাতক্ষীরার ৩৩ ও ১৭ ব্যাটালিয়নের বিপরীতে ভারতের তিনটি বিএসএফ ব্যাটালিয়ন রয়েছে।