আতিকুর রহমান সাগর :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগষ্ট পতন হয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের। দেশে ফিরে আসে নতুন স্বাধীনতা ২.০। কিন্তু দেশে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আমাদের সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টা, প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ হওয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে ।
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য একটাই হতে হবে তা হলো দেশের উন্নয়ন ও সংস্কার। দেশ সংস্কার এর কথা চিন্তা করেই রাজনৈতিক ধারাকে নতুন দিকে ধাবিত করার জন্যই ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র খন্দকার ফাহিম ও তৌফিক আহাম্মেদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা হয় দেশে নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, ছাত্র জাগরণ বাংলাদেশ। সহযোগী হিসেবে ছিলো একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র – তামিম আহাম্মেদ, তাকবির খান সহ অন্যান্যরা।এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সংগঠক এর দায়িত্ব নেন খন্দকার ফাহিম ও সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব নেন তৌফিক আহাম্মেদ ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার ফাহিম বলেন, দেশের যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজে আমরা ও আমাদের সংগঠন পাশে থাকবে।আমাদের লক্ষ্য হলো দেশ সংস্কার করা, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া ও দেশের মানুষের সুখে দুখে সর্বদা পাশে দাড়ানো।দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত।আমাদের লক্ষ্য, সুস্থ ও সুন্দর রাজনীতি চর্চা করা এবং সুস্থ রাজনীতি চর্চা করার মত পরিবেশ তৈরি করা । এ দেশ থেকে নোংরা রাজনীতি ও নোংরা চিন্তা ভাবনা কে দূর করা। একজন সমাজ সেবক বা সমাজের সামান্য সংগঠক হয়েও মানুষের পাশে থাকা যায় সেই চিন্তাধারা স্থাপন করা। রাজনীতি করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য আমি মনে করি। কারণ রাজনীতি না করার সবচেয়ে নীতিবাচক দিক হলো নিজের থেকে নিকৃষ্ট মানুষ দ্বারা শাসিত হওয়া । সুষ্ঠ সুন্দর রাজনীতিই পারে একটি সুন্দর দেশ গঠন করতে । সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা শক্তি থেকেই প্রতিষ্ঠা করেছি ছাত্র জাগরণ বাংলাদেশ। যেখানে ন্যায় কে ন্যায় আর অন্যায় কে অন্যায় বলা যাবে।এই সংগঠন দেশের স্বার্থে কথা বলবে কোনো বিমাতাসুলভ আচরণ করা কোন দেশকে কে খুশি করার জন্য কথা বলবে না।ছাত্র জাগরণের মূল কথা শিক্ষা-শান্তি-সেবা-স্বাধীনতা।যা কথায় নয় বাস্তবে প্রমান করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ।