স্টাফ রিপোর্টার :
যশোরের অভয়নগরে ভবদহের জলাবদ্ধতার শিকার হাজার হাজার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত এক মাসে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের মাঝে ৯০ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ টাকার খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক চাল ও খাদ্যসহায়তা বিতরণে স্বস্তি পেলেও সহায়তার পরিমান বৃদ্ধির আহবান করেছে ভুক্তভোগীরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভবদহের জলাবদ্ধতা ও সাম্প্রতিক সময়ে অতিবর্ষণের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। সরকার কর্তৃক ১০০ মেট্রিক টন চাল হতে গত এক মাসে পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের মাঝে ৯০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সুন্দলী ইউনিয়নে সাড়ে ২৬ মেট্রিক টন, চলিশিয়া ইউনিয়নে সাড়ে ২৫ মেট্রিক টন, পায়রা ইউনিয়নে ১২ মেট্রিক টন, প্রেমবাগ ইউনিয়নে ১১ মেট্রিক টন ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় ১৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া প্রাপ্ত ২ লাখ টাকা দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের মাঝে চিড়া, মুড়ি, চিনি, নুডুল্স, গুড়, আলু, ডাল, তেল, লবন, মশার কয়েল, মোমবাতি ও গ্যাস লাইট প্রদান করা হয়েছে।
পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারি চাল ও খাদ্যসহায়তার পরিমান বৃদ্ধির আহবান করা হয়েছে। একই সঙ্গে পানি নিষ্কাশন না হওয়া পর্যন্ত চাল ও খাদ্যসহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘অভয়নগরের চারটি ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড ভবদহের জলাবদ্ধতার শিকার। পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারের জন্য চাল ও খাদ্যসহায়তা প্রদাণে সরকার আন্তরিক। পানি নিষ্কাশন না হওয়া পর্যন্ত খাদ্যসহায়তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হাজার ২শ ৫০ পরিবারের ২৪ হাজার মানুষ চাল ও খাদ্যসহায়তা পেয়েছে। নতুন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিক তৈরির প্রক্রিয়া চলমান।’