সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
এক নজরে :
নওয়াপাড়া পৌরসভার কর নির্ধারক মোজাফফর সাময়িক বরখাস্ত সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ অভয়নগরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত যশোরে জুমার নামাজে সিইসি ; বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন রকম অবৈধ সামগ্রী আটক বাগআঁচড়া সাতমাইলে মুদিখানা দোকানে, ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বেনাপোল স্থলবন্দরে বিলাসবহুল মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অভয়নগর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার সাত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৩৫ জন আটক

সিন্ডিকেটের দাপট ভেঙে চট্টগ্রামে ন্যায্যমূল্যে সবজি : মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছে শামসুল হক ফাউন্ডেশন

মো: তানজিম হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সবজি বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে কৃষক যেমন ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, তেমনি ভোক্তাদেরও অতিরিক্ত দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। এই সংকটময় সময়ে এক অসাধারণ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। চাঁন্দগাওয়ের বহদ্দার বাড়ি পুকুর পাড়ে তারা স্থাপন করেছে একটি অস্থায়ী সবজি বিক্রয় কেন্দ্র, যেখানে সবজি বিক্রি হচ্ছে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে।

এখানে লাউ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৭ টাকায়, পেঁপে ২৫ টাকায়, বরবটি ৪৫ টাকায়, বেগুন ৫৫ টাকায়, শসা ২৫ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায়। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, “যতদিন বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আসবে না, ততদিন আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আমাদের উদ্দেশ্য বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া।”

তিনি আরও জানান, “আমরা রেয়াজ উদ্দিন বাজার আড়ত থেকে সরাসরি সবজি সংগ্রহ করছি, কোনো লাভ ছাড়াই একই দামে বিক্রি করছি। অন্যান্য সংগঠনগুলোকেও অনুরোধ করছি, সবাই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুক এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াক।”

আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর লোকমান হাকিম জানান, আজ ৪ টন সবজি আনা হয়েছে, যা দ্বারা উপকৃত হবে অন্তত ১ হাজার পরিবার।

ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, এবং দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছে ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনতে। লম্বা লাইন থাকলেও ক্রেতাদের মুখে রয়েছে স্বস্তির হাসি। সবজি কিনতে আসা সুমন মিয়া বলেন, “বাজারে যেখানে সবজির দাম আকাশছোঁয়া, সেখানে এখানে ন্যায্যমূল্যে সবজি পেয়ে আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয় বাসিন্দা লায়লা আক্তার মন্তব্য করেন, “আগে যে দামে একটি সবজি কিনতাম, এখন সেই দামে দুই-তিনটি সবজি কিনতে পারছি।”

সিন্ডিকেটের প্রভাব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লোকমান হাকিম জানান, “সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তা ও কৃষক উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি লাউ উৎপাদনকারী কৃষক মাত্র ৮-১০ টাকা পায়, অথচ খুচরা বাজারে সেই লাউ বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকা দরে।”

শামসুল হক ফাউন্ডেশন সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে একটি ‘ডোনেট বক্স’ স্থাপন করেছে, যেখানে সামর্থ্যবানরা সবজি দান করছেন। এখান থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে সবজি সংগ্রহ করতে পারছেন, যা তাদের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে।

ফাউন্ডেশনের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে একদিকে সিন্ডিকেটের দাপট ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে, অপরদিকে সাধারণ ভোক্তা ও কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ফাউন্ডেশনের নিরলস প্রচেষ্টা নগরবাসীর মধ্যে প্রশংসার ঝড় তুলেছে।



Our Like Page