দক্ষিণ বাংলা ডেস্ক :
খুব দ্রুত দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আইনি প্রক্রিয়ায় সব মামলা থেকে দায় মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে চান তিনি। বিশেষ কোনো সুবিধা দেশে ফিরতে চান না তারেক রহমান। বিএনপি নেতারা ও আইনজীবীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। আর সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে গেলেই গ্রেনেড হামলার মামলায় দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মুক্তি পেতে পারেন তিনি।
সরকার পতনের পর গত এক মাসে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও সাজা মওকুফ হয়। তবে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা কিংবা তাঁর মামলা নিয়ে নতুন কোনো অগ্রগতি নেই।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্ধশতাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ১০ বছর কারাদণ্ডসহ ৫ মামলায় সাজা দেওয়া হয় তাকে। বিএনপির আইনজীবীরা জানান, এই অবস্থায় সরকারের নির্বাহী কোনো আদেশে নয়, আইনি লড়াইয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন তারেক রহমান।
বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, ‘যথা সময়ে তিনি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে আসার পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমানকে টর্চার করেছে। প্রায় পঙ্গু করে ফেলার মতো অবস্থা করেছিল। সেই সরকারও কিন্তু ২১শে আগস্টের মামলায় তারেক রহমানকে আসামি করেন নি। তারেক রহমানের ক্ষেত্রে ইতিহাসে বিরল ঘটনা হয়েছে। তাকে নিম্ন আদালত খালাস দেওয়ার পর উচ্চ আদালত সাজা দিয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটা স্কিম এখানে ছিল পলিটিক্যাল স্কিম।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আইনজীবী ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহানের মতে, যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়নি। তাই উচ্চ আদালতে গেলে মুক্তি পেতে পারেন তিনি।
সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, ‘লুৎফর রহমান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, তারেক রহমান তো বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গিয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণ করেন নি। ওনাদেরকে এই মামলায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র প্রমাণ করার ক্ষেত্রে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমি যেটা বলব ষড়যন্ত্র প্রমাণ করার যথেষ্ট উপাদান বা যথেষ্ট সাক্ষী এই মামলায় নাই।’
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্য দেশ ছাড়েন তারেক রহমান। ১৬ বছর ধরে সেখান থেকেই দল পরিচালনা করছেন তিনি।