সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
এক নজরে :
নওয়াপাড়া পৌরসভার কর নির্ধারক মোজাফফর সাময়িক বরখাস্ত সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ অভয়নগরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত যশোরে জুমার নামাজে সিইসি ; বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন রকম অবৈধ সামগ্রী আটক বাগআঁচড়া সাতমাইলে মুদিখানা দোকানে, ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট বেনাপোল স্থলবন্দরে বিলাসবহুল মসজিদ ভবনের শুভ উদ্বোধন অভয়নগর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার সাত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ৩৫ জন আটক

পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় সাতক্ষীরায় গৃহবধূ ও তার ভাইকে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরায় পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় গৃহবধূ ও তার প্রবাসী ভাইকে মারপিটের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা সদরের ধলবাড়িয়ার শেখ শাহেদের বাড়িতে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সাবিনা খাতুন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদাহ ইউনিয়নের কয়ারবিলে অবস্থিত নিবরাজ ব্রিকস নামে শেখ শাহেদের একটি ইট ভাটা আছে। সেই ভাটা হতে ১ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ ইট ক্রয়ের জন্য ২০২০ সালে এককালীন ১০ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা শেখ শাহেদকে দেন সাবিনা খাতুন। এরপর ভাটায় ইট পোড়ানোর পর সাবিনা খাতুন ইট নিতে গেলে শেখ শাহেদসহ ভাটা সংশ্লিষ্টরা ‘উন্নত মানের ইট তৈরী হয় নাই, পরবর্তীতে উন্নত মানের তৈরী হলে ডেকে ইট দেব বলে জানান।’ তাদের কথায় বিশ্বাস করে অপেক্ষা করতে থাকেন সাবিনা খাতুন।

পরবর্তীতে তারা পরপর কয়েক দফায়, কয়েক সিজনে ইট তৈরী করে বিক্রয় করলেও সাবিনা খাতুনের ইট দেননি। পরে তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা সাবিনা খাতুনের সাথে টালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শালিসও হয়। কিন্তু শাহেদসহ তারা কোন শালিসের বিচার মানেনি।

এদিকে গত ৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আপন ভাই মাসুম (২৭)কে সাথে নিয়ে শেখ সাহেদের বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইলে সাহেদ সাবিনা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। সাবিনা খাতুন প্রতিবাদ করলে আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামের শেখ আঃ মাজেদের ছেলে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ সাহেদ (৩৬), আনছার আলীর ছেলে মাসুম (২৮), সাহেদের ড্রাইভার সজিব (২০), হেলালের ছেলে মুকুল (২০), শামসুর রহমানের ছেলে, সাবেক মেম্বর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি হেলাল (৩৫), শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মাদকাসক্ত যুবলীগ কর্মী শাওন (২৫), নুরুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম (২৪), নজরুল গাইনের ছেলে যুবলীগ নেতা সোহাগ (৩০), গদাঘাটা গ্রামের মৃত শাহজান আলীর ছেলে মোঃ মনি (৩০)সহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সাবিনা খাতুন ও তার ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে আটকে রাখেন।

বাঁশদহা ইউপি মেম্বর মোর্শেদুল বলেন, ‘আমরা যাওয়ার পর সাবিনা ও তার ভাই বাইরে চলে আসে। এরপর হঠাৎ শেখ সাহেদসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে সাবিনা ও তার ভাইকে ব্যাপক মারপিট করে। পরে সদর থানার এসআই শফিক ভাইসহ পুলিশ সদস্যরা সংবাদ পেয়ে তাদের উদ্ধার করে।’

এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত শেখ শাহেদের কাছে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর যুবলীগ নেতা সোহাগ, যুবলীগ কর্মী শাওনসহ কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ও মাদকাসক্ত যুবককে নিয়ে সন্ত্রাসী শেখ শাহেদ একটি গ্যাং বাহিনী গঠন করেছে। তারা প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে মারপিট করেছে। শিয়ালডাঙ্গার নবকুমারের বাড়িসহ প্রায় ডজনখানেক বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে। তার মারপিট থেকে বাদ পড়েনি সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। তাদের তান্ডবে অতিষ্ঠ আবাদেরহাটসহ আগরদাঁড়ী ইউনিয়নবাসী।

শেখ শাহেদসহ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের আইনের আওতায় না আনলে আমাদের এলাকায় আরো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে। আমরা শেখ সাহেদগংকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।

সাতক্ষীরা থানার ওসি শামিনুল ইসলাম বলেন, ‘মারপিটের ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২কে আসামীকে মামলা হয়েছে।



Our Like Page