বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
এক নজরে :
বেনাপোল সিমান্ত থেকে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্যসহ আটক -১ ভবদহ এলাকায় ২১ ভেল্ট স্লুইস গেট এলাকা পরিদর্শন করলেন চায়না ডেলিগেশন টিম আবারও বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জলবদ্ধতা সৃষ্টি : দ্রুত ড্রেনের খনন কাজ শুরু লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সাঁটলিপিকার শহীদুজ্জামানের ৭ বছর কারাদণ্ড বন্যার্তদের পাশে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি এড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন বর্ষা এবং জলাবদ্ধতা উপেক্ষা করে পণ্য পাহারা দিচ্ছেন বন্দরের আনসার সদস্যরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বেনাপোলে অংশগ্রহণমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতা জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে অভয়নগরে সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত নওয়াপাড়া পৌরসভার কর নির্ধারক মোজাফফর সাময়িক বরখাস্ত সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ

ভারতে জেল খেটে বেনাপোল দিয়ে স্বদেশে ফিরলো ৪ যুবক

মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ, বেনাপোলঃ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বদেশের মাটি স্পর্শ করলেন ভারতের কারাগারে আটক ৪ বাংলাদেশি যুবক। সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যায় ট্রাভেল পরমিটের মাধ্যমে হরিদাসপুর আইসিপি ইমিগ্রেশন ব্যুরো পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

দেশে ফিরে আসা যুবকরা হলো- পঞ্চগ— জেলা সদরের ভিটরগড় এলাকার পশ্চিমবাগান ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে আলমগীর হেসেন। তার পাসপোর্ট নং এ-০৬২১৪০৮০। তেতুলিয়ার তিরনাইহাটের শমছের আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম। ঢাকার মীরাজ নগর’ কদমতলী এলাকার মোহাম্মাদবাগ এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে শিফাত, তার পাসপোর্ট নং বি-০০০৮৩১২৯ ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সংকুচিয়া এলাকার ধর্মানগরের বাসিন্দা আব্দুল মুন্নাফের ছেলে লিলুফা ওরফে শাহিন ওরফে বাপ্পি। বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

তারা দালালের মাধ্যমে ভালো কাজের আশায় ২জন পাসপোর্টে ও ২জন চোরাই পথে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাই শহরে বসবাস করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার পুলিশ তাদের বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট না থাকায় বেআইনি বসবাসের অভিযোগে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে আটক করে এবং কারাগারে পাঠায়।

সেখানে আড়াই বছল কারাভোগ শেষে মুম্বাইয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (এনজিও) তাদেরকে কারামুক্ত করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় ট্রাভেল পরমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, “ফেরত আসা যুবকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য যশোরের জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (এনপিও)’র জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ধরনের ঘটনায় তরুণদের সচেতন হওয়া দরকার, যেন কেউ দালালের প্রলোভনে পড়ে অনিশ্চিত পথে পা না বাড়ায়।

এদিকে, বাংলাদেশে ফেরত আসা যুবকদের চোখেমুখে ছিল স্বস্তির ছাপ। তারা জানান, জীবনের এই কঠিন অভিজ্ঞতা তাদের শিখিয়েছে দেশে থেকে বৈধ পথে উপার্জনের চেষ্টা করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও সম্মানের।



Our Like Page