বিশেষ প্রতিবেদক:
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম খুন ও মতুয়া সম্প্রদায়ের উপর নির্মম বর্বরতার প্রতিবাদে উত্তাল অভয়নগর। ঘটনার চারদিন পর নিহতের ভাইয়ের করা মামলায় বিএনপির দুই নেতার নাম দেয়ায় মুখোমুখি অবস্থানে বিএনপির দুটি গ্রুপ। এজাহার থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবিতে অভয়নগরের থানা ঘেরাও, বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে একটি পক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।
আজ বিকালে উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়কে অভয়নগর থানা, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দল সভাপতি তরিকুল ইসলাম হত্যায় দায়ের করা মামলায়; থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ সাথী ও নওয়াপাড়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আকতার কোরাইশী পাপ্পুর নাম জড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে বক্তব্য রাখেন, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি। এর আগে ইনস্টিটিউট মাঠের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, থানা বিএনপির সদস্য মশিয়ার রহমান মশি, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এফ এম গিয়াস উদ্দিন, থানা যুবদলের সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ, চলিশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মাদ আলী বেগ সোনা, বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান, পৌর বিএনপি নেতা জিএম বাচ্ছু, ইকবাল কোরাইশী, জহির উদ্দিন মোল্যা, আলতাফ হোসেনসহ অন্যন্যরা।
পূর্বঘোষিত বুধবারের অবোরধ কর্মসূচি স্থগিত করে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তরিকুল হত্যা মামলার এজাহার থেকে দুই যুবদল নেতার নাম প্রত্যাহার করতে হবে। প্রত্যাহার না করা হলে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ করা হবে। প্রয়োজনে আন্দোলন লাগাতার কর্মসূচিতে পরিণত করা হবে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দুই যুবদল নেতার নাম মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার পর তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।