স্টাফ রিপোর্টার :
অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামে পাওনা টাকা না দেওয়ার বাহানায় শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে পাওনাদার মতিয়ার রহমানকে। বৃহস্পতিবার বিকালে অভয়নগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আসামীর স্ত্রী জো¯œা বেগম লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার স্বামী মতিয়ার রহমান(৫০) একজন দরিদ্র কৃষক। কোমরে ব্যাথার কারনে সে এখন কঠিন কাজ করতে পারে না। তাই সে ধোপাদী নতুন বাজারে একটি তরকারির দোকনা করে সেখানে নিয়মিত বেচাকেনা করে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছেন প্রতিবেশী প্রবাসী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া পারভিন।
গত তিন বছর আগে শরিফুল ও তার স্ত্রী পারভিন মিলে তার ছেলে ও জামাইকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে চেক স্টাম্প জামানাত দিয়ে পনের লাখ টাকা নিয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের বিদেশে পাঠাতে পারেনি। এখন তারা ওই টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য নানা তালবাহনা শুরু করেছে। তাদের গত ৬ জুলাই টাকা ফেরত দেওয়ার দিন ছিলো। কিন্তু তার আগের দিন ৫ জুলই তাদের সাত বছরের ময়েকে দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার নাটক সাজিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ তাদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার ধারায় মামলা করেছে। ওই মামলায় মতিয়ার রহমান জেল হাজতে রয়েছে। তিনি আরো জানান, বাদি সেনিয়া পারভিন থানায় ধর্ষণ অভিযোগ দিয়ে তাদের কাছে জামানাতকৃত ১৫ লাখ টাকার চেক ও স্টাম্প ফেরত চেয়েছিলো। সেগুলো ফেরত দিলে মামলা হবে না এ কথা ও বলেছিলো। পরে অভিযোেেগর তিন দিন পরে থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় তিনি আদালতের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার চেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আসামী মতিয়ার রহমানের ছেলে শরিফুল মোল্যা, ভাগ্নী বিথী খাতুন, জামাই সবুজ মোল্যা, দেবর আতিয়ার মোল্য, প্রতিবেশী আল আমিন সরদার প্রমুখ।