শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
এক নজরে :
যশোর সিমান্ত থেকে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য আটক শার্শায় বিএনপি নেতা হাসান জহিরের গণসংযোগ ও মোটরসাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত শার্শায় কৃষি ব্যাংক উদ্ভোধন ও গ্রাহক সেবা আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত যশোরে মহাসড়কে বিজিবির অভিযানে ১৭ পিচ স্বর্ণেরবারসহ আটক-১ বেনাপোল চেকপোষ্টে ল্যাগেজ বহির্ভুত পণ্য থাকলে স্পট ট্যাক্সের দাবি যাত্রীদের সাতক্ষীরার বাইপাসে ট্রাক-আলমসাধু সংঘর্ষে মারাত্মক আহত ২ যশোরের শার্শা থানা পুলিশের অভিযানে আটক-৪ যশোরের শার্শা গোগা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১০০ পিচ ফেনসিডিল উদ্ধার সাতক্ষীরায় ২ নারীসহ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ২৮ জন চুড়ান্ত

নওয়াপাড়ায় কৌশল পাল্টে চলছে চাঁদাবাজি, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার :
যশোরের অভয়নগরে বন্ধ হচ্ছে না চাঁদাবাজি। বিভিন্ন অজুহাতে দিতে হচ্ছে চাঁদা। কৌশল পাল্টে চাঁদাবাজি করায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। যে কারণে চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার করাটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। চাঁদা আদায় বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বাজারে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মোবাইল ফোনে, মৌখিকভাবে, ডাকযোগে চিঠি বা দাওয়াতপত্রসহ বিভিন্ন কৌশলে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। যে কারণে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বাড়ি থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নওয়াপাড়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দুই যুগ ধরে তারা ওষুধ ব্যবসা করছেন। কোনো দিন চাঁদা দিতে হয়নি। কিন্তু ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের পর তাদেরকের চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদাবাজরা বিভিন্ন সময় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা বলে দোকানে দাওয়াতপত্র দিচ্ছে। দু একদিন পর ৮-১০ জনের একটি দল দাওয়াতপত্রের অজুহাতে টাকা নিতে আসছে। টাকা না দিতে চাইলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। অনেকে আবার পিকনিকের কথা বলেও টাকা আদায় করছে।

আদায়ের সময় রাজনৈতিক দলের পাতি নেতাদের নামও ব্যবহার করছে তারা। সম্প্রতি এক দাওয়াতপত্রের ঠিকানা অনুযায়ী সেই ক্লাবের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে, তাই বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের নামে টাকা আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আল আমিন হোসেন বলেন, আমার ছোট দোকান, কেনাবেচা নেই বললেই চলে। এরমধ্যে এক শ্রেণির যুবক তাদের পাড়ায় অনুষ্ঠানের কথা বলে চাঁদা দাবি করে। না দিতে চাইলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। প্রায় ৩ দিন হয়েছে দোকান বন্ধ রেখে বাড়িতে বসে আছি।

নওয়াপাড়া বাজার কমিটির সাবেক এক নেতা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভয়নগরের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে কোনো বাজার কমিটি নেই। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজরা সক্রিয়। তাই চাঁদাবাজ ধরতে শুধু প্রশাসন নয় ব্যবসায়ীদেরও ভূমিকা থাকতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘চাঁদাবাজ ধরতে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’



Our Like Page