 
						
মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ, বেনাপোলঃ
শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে প্রথমে যদি এদেশের কেউ বেঈমানি করে থাকে তবে সে ছিল শেখ হাসিনা। আপনারা জানেন ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিশিদ্ধ ঘোষনা করলেন প্রতিষ্ঠিত করলেন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল। তিনি পার্লামেন্টে ঘোষনা করলেন দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল দল ছাড়া আর কোন দল কেউ করতে পারবে না। সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি সংবাদপত্র ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিশিদ্ধ ঘোষনা করা হলো। শেখ মুজিবের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে দেশের সাংবাদিক, রাজনৈতিক অর্থনীতিবীদ দেশের সামরিক বেসমারিক ব্যাক্তিদের কিছু বলার থাকল না। সর্বত্র নিস্তবদ্ধতা। তাহলে সেই বাকশালকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা তার পিতার গড়া বাকশালকে বিলুপ্তি ঘোষনা করে আবার আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা করল। তাহলে বলতে হয় শেখ হাসিনাই তার পিতার সাথে প্রথম বেঈমানি করেছিল। বৃহস্পতিবার বেলা পনে তিনটার সময় বেনাপোল দিঘিরপাড় ঈদগাহ ময়দানে কথাগুলো বললেন সাবেক যশোর ৮৫ শার্শা -১ আসনের এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি।
এর আগে তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরপাড় ৫ নং ওয়ার্ডের ঈদগাহ ময়দানে বেসরকারী টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনে ত্রায়োদশ নির্বাচন উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ইন্টারভিউ দেন। ইন্টারভিউ শেষে উপস্থিত জনসমুদ্রে পরিনত হওয়া জনগনের মাঝে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
সাবেক এ সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করতাম। সেখান থেকে আমি ছাত্র দল থেকে রাজনীতি শুরু করি। এরপর আমি দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্বও নিষ্ঠার সাথে পালন করি। আমার এলাকায় আমি কেন্দ্রিয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না হয়েও অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এলাকার মসজি মাদ্রাসা রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ এর উন্নয়ন করি। আমি এলাকার অনেক বেকার ছেলে মেয়েদের সরকারী চাকুরী দিতে সহযোগিতা করেছি। তার বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে একটি পয়সাও নেই নাই। আমরা সঠিক ভাবে বিগত ১৫ টি বছর রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। আমাদের খুন গুম করার সুযোগ খুজেছে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকার। আমাকে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে ওই ফ্যাসিবাদি হাসিনা সরকার। এখন আমি মাঠে নামলে লোকজন দৌড়ে চলে আসছে তৃপ্তি ভাই এসেছে। আমি এমপি হলে আগে যারা নানা মামলা হামলার শিকার হয়েছে তাদের পাশে থাকব। পতিত সরকার এর আমলে আমাদের এই সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। এটাও আগে রোধ করব।
তিনি আরো বলেন সিরাজ শিকদার ছিলেন বামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতা। তিনি ছিলেন একজন মেধাবী শিক্ষীত রাজনৈতিক নেতা। শেখ মুজিবের দুশাসন এর বিরুদ্ধে সিরাজ সিকদার যখন গর্জে উঠল দিনকে দিন সব কিছু অচল করে দিতে লাগল তখন তাকে গ্রেফতার করে শেখ মুজিবের নির্দেশে পাঁচ পাঁচটি গুলি করে হত্যা করা হলো। আর পবিত্র জাতিয় সংসদে অট্রোহাসি দিয়ে শেখ মুজিব বক্তব্য দিল সিরাজ সিকদাররা কোথায়। জাতিয় সংসদে এধরনের বক্তব্য দেওয়া সেখ মুজিবের মরোনোত্তর বিচার ও ফাঁসি হওয়া উচিত। সিরাজ সিকদার নিপিড়ীত নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যে নিজ সংসার আত্নীয় স্বজন পরিবার পরিজন আরাম আয়েস ত্যাগ করে সমাজ বিপ্লবে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তখন এদেশের মানুষ বলাবালি শুরু করল সেখ মুজিব যদি মহান নেতা হন দেশ প্রেমিক নেতা হন তাহলে কি করে আর একজন দেশ প্রেমীক স্বর্বত্যাগি নেতাকে বন্দী অবস্থায় বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করল। এই জঘন্য অন্যায় কলঙ্কর কথা পবিত্র পার্লামেন্টে দাড়িয়ে কি ভাবে তিনি দম্ভের সাথে বলতে পারল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজ উদ্দিন তাজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, শার্শা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন বাবলু শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদা, বেনাপোল পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুজ্জামান মির্জা সদস্য সাইফুল ইসলাম আসাদ,বেনাপোল পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ, মফিজুর রহমান পিন্টু সহ স্বেচ্ছাসেবক দল শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।