মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

মশিয়াহাটী বাজারের জুয়েলারী দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর) :
যশোরের মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার সীমান্তবর্তী মশিয়াহাটী বাজারের জুয়েলারী দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। মনিরামপুরের কুলটিয়া ইউনিয়নের কুলটিয়া গ্রামের গৌতম কর্মকারের মালিকানাধীন অভয়নগরের মশিয়াহাটী বাজারের সৌখিন জুয়েলার্সে রবিবার দিবাগত রাত ৩ টায় ওই ডাকাতি করে ১০/১২ জন মুখোশধারী সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাত দল।
ভোর রাতে ২ ঘন্টা ধরে ডাকাতি করে সৌখিন জুয়েলার্সের গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে দুইটি লকার ভেঙ্গে প্রায় ৪ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এছাড়া একই গলিতে রনজিত বিশ্বাসের নিউ অলংকার জুয়েলার্সের দুইটি তালা ভেঙ্গে দোকান খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সময় অস্ত্রের মুখে ৭ জন স্থানীয় লোক ও পথচারীদের হাত, পা, ও মুখ বেঁধে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, মশিয়াহাটী গ্রামের বিকাশ বিশ্বাস (৬০), তার স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বাস (৫৫), অমর বিশ্বাস (৫৮) ও তার স্ত্রী বৈশাখী বিশ্বাস (৫২), অনিমেষ বিশ্বাস (৫৫), পরিমল বিশ্বাস (৬২) ও তৌশিক দাস (২০)।
প্রতিমা বিশ্বাস জানান, রাতে শব্দ শুনে আমি ও আমার স্বামী বাইরে এলে ডাকাতরা আমার গলায় থাকা প্রায় ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের হাত, পা, মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। কলেজ ছাত্র তৌশিক দাস জানায়, তাকে মারধর করে বেঁধে রাখে।
অপর একজন মিষ্টির দোকানদার অমর বিশ্বাস ও তার স্ত্রী জানান, তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে নিয়ে একইভাবে বেঁধে রাখে।
ঘটনার বিষয়ে সৌখিন জুয়েলার্সের মালিক গৌতম কর্মকার বলেন, রাত তিনটার দিকে পাশের সেলুন দোকানের মালিক জয় দাস ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে মোবাইলে ফোন করে। কিন্তু শব্দ খুব ক্ষীণ থাকায় কিছুই বুঝতে পারেনি। সকালে এসে গ্রিল কাটা, দুটি লকার ভাঙ্গাসহ দোকানের ভিতর লন্ডভন্ড দেখতে পান। পরে সব খুঁজে দেখেন, প্রায় এক ভরি ওজনের এক বাক্স নাকফুল, দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ২৫ ভরি চান্দি রূপাসহ নগদ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।
মশিয়াহাটী বাজার কমিটির সভাপতি মিহির বিশ্বাস বলেন, আজ সন্ধ্যায় মিটিং ডেকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নেহালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই রেজাউল করিম জানান, মশিয়াহাটী বাজার নেহালপুর ক্যাম্পের আওতাধীন নয়, ওই বাজার অভয়নগর উপজেলার। আমরা অভয়নগর থানায় জানিয়েছি।
এদিকে ঘটনার পর সোমবার সকালে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে খোঁজখবর নেন এবং পরবর্তীতে অভয়নগর থানার ওসি এ কে এম রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত চলছিল।



Our Like Page