দক্ষিণ বাংলা ডেস্ক:
ভবদহ অঞ্চলে পানি জমে থাকে সারা বছরই। আর বর্ষা মৌসুমে তা আরও বেড়ে যায়। এ বছর রেকর্ড ভেঙে তা ২ হাজার ২০০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ১২ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে মোটা অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।
আবহাওয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, যশোরে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় প্রায় ১৫০০ মিলিমিটার। কিন্তু এ বছর রেকর্ড ভেঙে তা ২ হাজার ২০০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে।
অতিবৃষ্টিতে ভবদহ অঞ্চলে যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলার প্রায় ১২ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে।
মৎস্য বিভাগ বলছে, মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় ২১০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার মাছ চাষি।
এক মাছ চাষি বলেন, ‘এ বছর আমার ১২ বিঘায় ঘেরে পাবদা মাছের চাষ ছিল। এতো বৃষ্টি হয়েছে তা যা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। সব মাছ শেষ। আমাদের শোচনীয় অবস্থা।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার মোহাম্মদ ফারুক আলম বলেন, ‘ঘেরগুলো ভেসে যাওয়ায় চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ প্লাবন ভূমিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা যে হিসাব পেয়েছি তাতে ২১০ কোটি টাকার মতো মাছ এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে ভবদহ অঞ্চলের সমস্যার সমাধান হয়নি আজও, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভবদহ পানি নিষ্কাষণ সংগ্রাম কমিটির সদস্য মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে কিন্তু তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। যে কারণে আমাদের মূলত এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভবদহ অঞ্চলে সেচের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের পাইলটি প্রকল্পটিও পূর্ণতা পায়নি এখনো।