সেলিম রেজা:
অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কলাতলা স্কুল)। ১৯৬৯ সালে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি। ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই বিদ্যালয়টি একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ভেসে যায়। ব্যাহত হয় বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। সম্প্রতি অতি ভারি বর্ষনের কারনে বিদ্যালয়ের মাঠসহ ক্লাস রুমে পানি উঠেযায়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটে।
বিদ্যালয়টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে মাঠ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর একটু ভারি বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে পড়ছে শ্রেণীকক্ষে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে মাঠটি। বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু হওয়ায় আশপাশের সব পানি মাঠে এসে জমা হয়। মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা অ্যাসেম্বলি করতে পারে না। টিফিন চলাকালীন মাঠে খেলাধুলার কোনো সুযোগ নেই। হাঁটুপানি পেরিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যেতে হয় শ্রেণীকক্ষে। সপ্তাহখানেক আগে বৃষ্টি থামলেও এখনও মাঠে প্রায় হাঁটুপানি জমে ছিল। আবার গত রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আবারো পানি বাড়ছে। জলাবদ্ধ থাকায় কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিরি সংখ্যা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুন, সোনিয়া, বৃষ্টি বলে, আমাদের হাঁটুপানি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। মাঠে অ্যাসেম্বলি ও খেলাধুলা থেকে আমরা বঞ্চিত। দীর্ঘদিন পানিবদ্ধ থাকায় পানিতে নামলেই চুলকানি শুরু হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবলুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় মাঠ ভরাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা জরুরি। বিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন, পানি নিরসনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই আশপাশের পানি এসে মাঠে জমা হয়। তাতে শিক্ষা ব্যাবস্থা ব্যাহত হয়। বিষয়টি সুরাহার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির মাঠ একটু নিচু আছে। ইউএনও সারের সাথে আলোচনা করে মাঠটিতে বালু দিয়ে ভরাট করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমি এলাকায় নতুন এসেছি। বিদ্যালয়টির সম্পর্কে জানি না। বিদ্যালয় কর্তিপক্ষ আমাকে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।